আশ্চর্য ভোরের প্রতিভূ
------------------------
জনপদ ছেড়ে যাই। কাছে আসে আগরআকাশ। সুবাস
ছড়াতে শালুকস্রোতও মিলিয়ে যায় আমার পরাণে। আহা !
বাঁশীতন্ত্রে বাজা দিনের যৌবন, জানো তুমিও এখানে -এই
দীঘিপাড়ে জোতদার মেঘ খুব সহজেই তুলে রাখে বিবিধ
দেয়াল। আমি টপকাতে চাই।চলে যেতে চাই এই অভিমানী
নগর ছেড়ে অন্য লোকালয়ে। যেখানে কেবল বেদনা জাগে
আশ্চর্য ভোরের প্রতিভূ হয়ে।
প্রবাদ পিয়াসী এক পাহাড়ের কোলে
-------------------------------------
ধ্বনির দূরত্ব জেনে গুহাগুলো সারিবদ্ধ হয়। প্রলয় এসেছে ভেবে গা ঝাড়ে
পিপীলিকাগণ। শমন হবে কি জারী মৃত্যুর, ঘোর নিমজ্জন ! ভ্রমণ সম্পন্ন
হলে ঝিনুকেরা সমুদ্রে হারায়। পায় কি নতুন দিন, অথবা রাতের শঙ্খনাদ?
প্রবাদ পিয়াসী এক পাহাড়ের কোলে গিয়ে ভাবে। তবে কি গুহার রাজ্যে
পিপীলিকা একক সম্রাট ! বিরাট কর্তৃত্ব নিয়ে নিজেকেই রাজা মনে করে।
ফিরে তাকিয়ে ভাবে ,পাহাড়টা এতোই কি ছোটো ? দু'টো ডানাও নেই,
অথচ আমার। খামার মৌসুমে গজায় কি সুন্দর রঙিন পেখম ! ওম কাল
ভুলে গিয়ে পিপীলিকা এভাবেই নিজে। পাহাড়কে ধাক্কা দিয়ে হাই তুলে
মথুরা স্বরাজে !
মুখোশ ও মুগ্ধতা
-----------------
মাঝে মাঝে আমরা মুখোশ পরে থাকি। ভাবি নিজেদরকে লুকিয়ে রেখেছি !
বেশ !! নিজের তালিয়া নিজেই বাজাই। খাবি খাই অর্ধেক জলে আর অর্ধেক স্থলে। তৈরি করি নষ্ট কোলাহল। আর চেয়ে দেখি কে কে যোগ দিলো আমাদের কাফেলায় !
বড় আজিব আমাদের মন। মুহুর্তেই আঙুল উঁচিয়ে অস্বীকার করি নিজের অস্তিত্ব! কিংবা একধরনের প্রতিকুল প্রতিযোগিতায় নামি কোমরে গামছা বেঁধে i
বেশ !! নিজের তালিয়া নিজেই বাজাই। খাবি খাই অর্ধেক জলে আর অর্ধেক স্থলে। তৈরি করি নষ্ট কোলাহল। আর চেয়ে দেখি কে কে যোগ দিলো আমাদের কাফেলায় !
বড় আজিব আমাদের মন। মুহুর্তেই আঙুল উঁচিয়ে অস্বীকার করি নিজের অস্তিত্ব! কিংবা একধরনের প্রতিকুল প্রতিযোগিতায় নামি কোমরে গামছা বেঁধে i
হায় জীবন , হায় আমাদের ভাবনার মুন্ডুপাত !
আচ্ছা, মানুষ কতটুকু নগ্ন হলে নিজেকে খু -উ- ব সংস্কারবাদী কিংবা আধুনিক করতে পারে - তার কোনো বয়ান কি কারো জানা আছে ?
আচ্ছা, মানুষ কতটুকু নগ্ন হলে নিজেকে খু -উ- ব সংস্কারবাদী কিংবা আধুনিক করতে পারে - তার কোনো বয়ান কি কারো জানা আছে ?
একবার এক বেদেনীর সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ! সেই বেদেনী
বিদায় বেলা বলেছিল - বাবুজি, আমরা সাপের খেলা দেখাই।সাপ আমাদের পোষ মানে। কিন্তু এই সমাজের সাপগুলোকে যদি পোষ মানানো যেতো ,
তবে হয়তো সমাজটা অন্য রকম হতো !
তার কথা আমি আজও শোনি । কানে বাজে ।
দেখি মুখোশ পরে আজ যারা নিরাপদ দুরত্বে থেকে বাণী শোনাচ্ছেন - তারা
আসলেই সর্প প্রজাতি।
বাগানের অচেনা পুষ্পের প্রতি তাদের মুগ্ধতার বড় অভাব।
তারা বাচালতায় ব্যস্ত । তার চেয়েও বেশী ব্যস্ত বগল বাজিয়ে খিস্তি খেউড়
আওড়াতে !
আর কুসুমাস্তীর্ণ প্রজন্মের পথে, বারবার কাঁটা ঢেলে দিতে !
বিদায় বেলা বলেছিল - বাবুজি, আমরা সাপের খেলা দেখাই।সাপ আমাদের পোষ মানে। কিন্তু এই সমাজের সাপগুলোকে যদি পোষ মানানো যেতো ,
তবে হয়তো সমাজটা অন্য রকম হতো !
তার কথা আমি আজও শোনি । কানে বাজে ।
দেখি মুখোশ পরে আজ যারা নিরাপদ দুরত্বে থেকে বাণী শোনাচ্ছেন - তারা
আসলেই সর্প প্রজাতি।
বাগানের অচেনা পুষ্পের প্রতি তাদের মুগ্ধতার বড় অভাব।
তারা বাচালতায় ব্যস্ত । তার চেয়েও বেশী ব্যস্ত বগল বাজিয়ে খিস্তি খেউড়
আওড়াতে !
আর কুসুমাস্তীর্ণ প্রজন্মের পথে, বারবার কাঁটা ঢেলে দিতে !
#
2 comments:
very Nice Poems
আপনার কবিতায় আমাদের সমাজচিত্রের স্পষ্ট ছবি পেলাম।
খুব সিদ্ধহস্ত আপনি কবিতায়।
Post a Comment